
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয়বার নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তার সামনে রয়েছে জটিল আইনি ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। সংবিধানের ২২তম সংশোধনী স্পষ্টভাবে বলে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন।
সংবিধান এবং ইতিহাস
সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট চারবার নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৫১ সালে বিধানটি কার্যকর করা হয়। এর আগে জর্জ ওয়াশিংটনের সময় থেকেই প্রেসিডেন্টদের জন্য দুই মেয়াদের সীমা একটি অলিখিত প্রথা হিসেবে চলছিল। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ওয়েইন আঙ্গারের মতে, আদালত সম্ভবত ট্রাম্পের তৃতীয়বারের প্রচেষ্টা বাতিল করবে। তিনি বলেন, “চার বছর করে দুই মেয়াদ স্পষ্টভাবে সংবিধানে উল্লেখ আছে, তৃতীয়বারের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।”
সংবিধান পরিবর্তনের সম্ভাবনা
তৃতীয়বারের সুযোগ তৈরি করতে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব হলেও এটি রাজনৈতিকভাবে প্রায় অসম্ভব। কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট এবং ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৩৮টির অনুমোদন প্রয়োজন। বর্তমানে রিপাবলিকানদের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। টেনেসির রিপাবলিকান প্রতিনিধি এবং ট্রাম্পের সমর্থক অ্যান্ডি ওগলস জানুয়ারিতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যাতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সর্বোচ্চ মেয়াদ তিনবার করা যায়, কিন্তু তা বাস্তবায়ন সম্ভাবনা খুব কম।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার গুঞ্জন
কিছু সমালোচক যুক্তি দিয়েছেন, ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়িয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসতে পারেন। তবে সংবিধানের ১২তম সংশোধনী অনুযায়ী এটি সম্ভব নয়। ট্রাম্প নিজেও সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি চাইলে এটি করতে পারতাম। কিন্তু মানুষ হয়তো এটি পছন্দ করবে না।”
আইনি বিধান, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং জনমতের চাপ, এই তিনটি কারণে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ট্রাম্পের সম্ভাবনা সীমিত। সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করা বা সংবিধান পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে তৃতীয়বারের নির্বাচন তার জন্য সহজ পথ নয়।
সূত্র: রয়টার্স




























