আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৩১ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
একাধিক মামলার আসামি
সিটিটিসি জানিয়েছে, শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া চলতি বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার মামলাতেও তার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল-রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে স্থানীয় এলাকায় প্রভাব বিস্তার এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের।
জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
গ্রেপ্তারের পর শফিকুর রহমানকে সিটিটিসি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্মকর্তারা জানান, তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তারা ধারণা করছেন, তিনি শুধু রাজনৈতিক পরিচয় নয়, প্রভাবশালী স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শফিকুর রহমানকে আটক করার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির অনুভূতি দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ— তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। ফলে গ্রেপ্তারের পর তারা এটিকে ‘‘ন্যায়বিচারের সূচনা’’ হিসেবে দেখছেন।
প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার ৩১ নং ওয়ার্ড ইউনিটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে একাধিক ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যায়ক্রমে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘রাজনীতির আড়ালে অপরাধের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য অশনিসংকেত। এমন অভিযানের মাধ্যমে সরকার একটি শক্ত বার্তা দিতে চাইছে যে, অপরাধী যেই হোক, ছাড় পাবে না।’’