
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি আর বেঁচে নেই। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজেও তার ইন্তেকালের খবর জানানো হয়। তার মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার সরকার দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার পরিবারের সম্মতিতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে তার মস্তিষ্কে থাকা গুলি অপসারণের অস্ত্রোপচার করেন। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অস্ত্রোপচারের পর তিনি আর জ্ঞান ফেরেননি এবং রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। ফোনালাপে তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। খুনিদের গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
হাদির সঙ্গে তার দুই ভাই বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। পরিবারের আরেক সদস্য বৃহস্পতিবার রাতেই সেখানে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।




























