আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপনে ভারত চলে যান। বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লির অভিজাত লুটিয়েন্স বাংলো জোন এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের গবেষণা ও প্রোপাগান্ডা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (সিআরআই)-এর কার্যক্রম নতুন করে শুরু হয়েছে দিল্লি থেকেই। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, যিনি একটি দুইতলা ভবনকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সিআরআই বর্তমানে তিনটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে:
1. অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা,
2. নির্বাচন ভণ্ডুল করা,
3. বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে বিভেদ তৈরি করা।
এ কাজে সহায়তার জন্য সিআরআই ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দিয়ে তৈরি ভিডিও, বেনামি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল। এসব কনটেন্টের মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
প্রচারণায় ব্যবহৃত মূল প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে:
প্রজন্ম ৭১
মঞ্চ ৭১
ব্রিগেড ৭১
জয়বাংলা ব্রিগেড
হিস্টোরি অব আগস্ট
নয়া সংগ্রাম ২৫
এই তৎপরতার লক্ষ্য হলো দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি, শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং পরবর্তীতে বড় পরিসরে সমর্থকদের জড়ো করে “ঢাকা অ্যাটাক” বা “যমুনা ঘেরাও” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
সিআরআইয়ের দায়িত্ব আগে পালন করতেন সজীব ওয়াজেদ জয়, তবে তার মার্কিন নাগরিকত্বের কারণে তাকে সরিয়ে বর্তমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুতুলকে। তিনি নিয়মিত দিল্লির অফিসে বসে সিআরআইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সম্প্রতি সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক পদ থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সূত্র: যুগান্তর