
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: রাজনীতির মঞ্চে আবারও তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, “দেখিয়েছে জরিনাকে, এখন বলছে সংসার করতে হবে সকিনার সাথে।” তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দলীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ এই বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, আগে সনদ দেখাতে হবে, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্বাক্ষর করবো কি না। তখন অনেকে আমাদের বিরোধিতা করেছিল। এখন যারা বলছে তারা কিছু জানত না, তাদের দায়ভার আমরা নেব কেন?
তিনি আরও বলেন, গণভোট সংস্কার বাস্তবায়নের একটি ধাপ। অতি দ্রুত এর অর্ডার জারি করা প্রয়োজন, যা দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, অনেকে এই আদেশ অন্য পথে নিতে চায়। হাসিনার আমলে দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে, বহু মানুষ আহত হয়েছে, এখন বিপ্লবের সার্টিফিকেট নিতে হবে চুপ্পুর কাছ থেকে? যদি নিতে হয়, তবে হাসিনার কাছ থেকে কেন নয়? এটা গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা।
জোট গঠনের প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা বিএনপিও না, জামায়াতও না। যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে, আমরা তাদের সঙ্গেই আছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও পটুয়াখালী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
সভায় দলীয় নেতারা স্থানীয় সংগঠকদের বক্তব্য শোনেন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন দিকনির্দেশনা দেন। পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সমন্বয় সভাকে ঘিরে এনসিপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড মিছিল নিয়ে তারা সভাস্থলে আসেন, ফলে পুরো এলাকা রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায়।





























