আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত দেড় বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন ও বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ন্যায্য দাবির প্রতি সরকার সব সময়ই ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে যেকোনো ধরনের বেআইনি বা অনুমোদনহীন সমাবেশ, আন্দোলন বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখন আমরা নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছি। তাই যাদের যেসব দাবি রয়েছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করার অনুরোধ করছি। এই সময়ে কেউ উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না বলে আশা করি।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় নয় লাখ সদস্য মাঠে থাকবে, যা এর আগে কোনো নির্বাচনে ছিল না। নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমোদনবিহীন সভা-সমাবেশ, রাস্তা অবরোধ বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যে কেউ বেআইনি সমাবেশে অংশ নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।