আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: সাম্প্রতিক দিনে দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানা, চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি কারখানা এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লেগেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাগুলো কোনো দুর্ঘটনা নয়, এগু আরলো সম্ভবত পরিকল্পিত নাশকতার অংশ।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় ঘটনাগুলোর তদন্ত ত্বরান্বিত করা হয়েছে। বিশেষভাবে বিমানবন্দর, মেট্রোরেল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সতর্ক ও সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও, বিমানবন্দরে কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অনুমতির কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব ঘটে। এতে কার্গো ভিলেজে সংরক্ষিত আমদানি পণ্য, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল এবং মেশিনারিজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিমানবন্দরের ঘটনায় সফল নাশকতার পর পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে দেশের আধুনিক পরিবহনব্যবস্থার প্রতীক মেট্রোরেল। নাশকতা ঘটিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা এবং সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করাই মূল লক্ষ্য।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ঘটনার ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক শত্রুরা এখনও সক্রিয়।” অন্য রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামোকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
সরকারি নির্দেশনায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কেপিআই) নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সারা দেশে টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে। সাধারণ জনগণকেও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান ও সহযোগিতা সম্ভব হয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণ একসঙ্গে সচেতন থাকতে হবে।