
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বগুড়া ও সাভার প্রতিনিধি: সুপরিচিত ‘ড্রাগন’ ও ‘বাওমা’ ব্র্যান্ডের নকল মশার কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে দেশজুড়ে নকলবিরোধী অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি বগুড়া ও ঢাকার সাভারে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ নকল কয়েল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই চক্রের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বগুড়ার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার সাভারের নগরকোন্ডা ও দাসপাড়া এলাকায় র্যাব-৪ (নবীনগর ক্যাম্প) এক বিশাল অভিযান পরিচালনা করে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চলে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্কোয়াড্রন লিডার মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালে মো. নাহিদ ইসলাম (৩৮) পরিচালিত ‘লামিয়া কনজুমার প্রোডাক্টস’ নামের প্রতিষ্ঠানের EURO মশার কয়েল কারখানায় বিপুল পরিমাণ নকল ও অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগন, বাওমা সহ বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের কয়েল নকল করছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। জব্দকৃত পণ্য প্রশাসনের উপস্থিতিতে জনসম্মুখে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়।
অবৈধভাবে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে ইউরো কয়েলের মালিক মো. নাহিদ ইসলামকে ঘটনাস্থলেই ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক ব্র্যান্ডের নকল উৎপাদনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউরো কয়েলের কর্মচারী রবীন্দ্র বণিক-এর বিরুদ্ধে একই চক্রের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে বগুড়ায় পরিচালিত অভিযানে নকল ড্রাগন ও বাওমা কয়েল উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ আশরাফুলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নকল কয়েল উৎপাদন ও বিপণনে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং চক্রের মূল সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।
আশরাফুলের তথ্য অনুযায়ী, এই চক্রের সঙ্গে ইউরো কয়েলের মালিক মো. নাহিদ ইসলাম, এ টু জেড কয়েলের মালিক মো. নুরুজ্জামান, পাবনার হাফিজুর রহমান এবং গাজীপুরের রবীন্দ্র বণিক-এর মতো ব্যক্তিরা জড়িত।
ড্রাগন ও বাওমা পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নকলবিরোধী অভিযান সারা দেশে অব্যাহত থাকবে। তারা ভোক্তাদের কাছে নকলমুক্ত, নিরাপদ ও কার্যকর পণ্য সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নকল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভোক্তা, ডিলার, ডিপো ও বিক্রেতাদের নকল পণ্য কেনা-বেচা নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।





























