আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির পারমাণবিক যুদ্ধক্ষমতা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারমাণবিক শক্তি কোনো সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না; বরং তা ধারাবাহিকভাবে ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বাড়ানো হবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, রোববার উত্তর কোরিয়া একটি দীর্ঘপাল্লার কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালায়। পরীক্ষাটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন কিম জং উন। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পশ্চিম উপকূলীয় সমুদ্রপথ অতিক্রম করে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে বলে দাবি করা হয়।
পরীক্ষা শেষে কিম জং উন বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পারমাণবিক প্রতিরোধক্ষমতা নিয়মিত যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন, পারমাণবিক ও কৌশলগত অস্ত্র কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তর কোরিয়া মনে করে তাদের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানো একটি ‘আত্মরক্ষামূলক ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত’। দেশটির নেতৃত্ব দাবি করেছে, বাইরের সামরিক চাপ ও হুমকির প্রেক্ষাপটেই এই সক্ষমতা উন্নয়নের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সুনান এলাকা থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয় তারা শনাক্ত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের ধারণা, বছরের শেষ ভাগে উত্তর কোরিয়া আরও অস্ত্র পরীক্ষায় যেতে পারে।
এর আগে কিম জং উন একটি নির্মাণাধীন পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক সাবমেরিন কর্মসূচিকে উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এর “যথাযথ জবাব” দেওয়ার কথা বলেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশটির নেতৃত্ব কৌশলগত বার্তা দিতে চাইছে।
সূত্র: Al Jazeera