আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: পেলভিক ব্যথা বলতে মূলত পেটের নিচের অংশ, কুঁচকি বা যৌনাঙ্গের আশপাশে অনুভূত ব্যথাকে বোঝায়। অনেক সময় এটি হালকা হয়, আবার কখনো তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে পেলভিক ব্যথার কারণ নানা হতে পারে, যেমন প্রস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা, যৌনাঙ্গের অসুখ বা হজমজনিত সমস্যা।
নিচে পুরুষদের পেলভিক ব্যথার সাধারণ কারণ ও লক্ষণগুলো তুলে ধরা হলো:
১. ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (UTI)
লক্ষণ:
পেটের নিচে চাপ বা ব্যথা
বারবার প্রস্রাবের চাপ
প্রস্রাবে জ্বালা বা পোড়া
কখনো প্রস্রাবে রক্ত
২. সিস্টাইটিস (Bladder ইনফ্ল্যামেশন)
লক্ষণ:
প্রস্রাবের সময় জ্বালা
প্রস্রাব ঘোলা বা দুর্গন্ধযুক্ত
পেটের নিচে ব্যথা
৩. প্রোস্টাটাইটিস (Prostate সংক্রমণ বা ফোলাভাব)
লক্ষণ:
যৌনাঙ্গ, পেটের নিচে বা পিঠে ব্যথা
প্রস্রাব বা বীর্যপাতের সময় ব্যথা
ঘন ঘন প্রস্রাব
জ্বর (সংক্রমণ থাকলে)
৪. যৌনবাহিত রোগ (STI)
লক্ষণ:
লিঙ্গ থেকে স্রাব
অণ্ডকোষে ব্যথা
প্রস্রাবের সময় জ্বালা
পেটের নিচে ব্যথা
৫. হার্নিয়া
লক্ষণ:
কুঁচকিতে ফুলে ওঠা বা গাঁট
নড়াচড়ায় ব্যথা বেড়ে যাওয়া
ভারী কিছু তুললে ব্যথা বাড়া
৬. আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome)
লক্ষণ:
পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
সাদা শ্লেষ্মাসহ পায়খানা
৭. অ্যাপেন্ডিসাইটিস
লক্ষণ:
পেটের ডান পাশে তীব্র ব্যথা
জ্বর, বমি বা বমি ভাব
৮. কিডনি বা ব্লাডার স্টোন
লক্ষণ:
প্রস্রাবের সময় ব্যথা
প্রস্রাবে রক্ত
কোমর বা পাশের দিকে ব্যথা
৯. ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার
লক্ষণ:
প্রস্রাবের গতি কমে যাওয়া
প্রস্রাবে রক্ত
লিঙ্গ ফুলে যাওয়া
১০. প্রস্টেট বড় হওয়া (BPH)
লক্ষণ:
প্রস্রাব করতে কষ্ট
রাতে বারবার প্রস্রাবের চাপ
যৌন মিলনের সময় ব্যথা
১১. নার্ভে চাপ পড়া (Pudendal Nerve Compression)
লক্ষণ:
বসলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
জ্বালা বা সুচ ফোটার মতো ব্যথা
যৌন দুর্বলতা
১২. পেটের ভেতরের দাগ বা জোড়া (Abdominal Adhesion)
লক্ষণ:
অস্ত্রোপচারের পর পেটের ভেতরের অঙ্গগুলোতে ব্যথা
১৩. দীর্ঘমেয়াদি পেলভিক ব্যথা (CPPS)
লক্ষণ:
যৌনাঙ্গ বা পিঠে ব্যথা
প্রস্রাব বা মলত্যাগের সময় ব্যথা
দীর্ঘ সময় বসে থাকলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া
১৪. ভ্যাসেকটমির পর ব্যথা (PVPS)
লক্ষণ:
ভ্যাসেকটমির পর পেলভিক বা যৌনাঙ্গে ব্যথা
পেলভিক ব্যথা কখনো হালকা হলেও, এটি গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে। যদি ব্যথা কয়েকদিনের বেশি থাকে, তীব্র হয় বা জ্বর, প্রস্রাবে রক্ত, বমি-ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকে—তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: Healthline