আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীদের মধ্যে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রসবের পর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসবের পর শরীরের হরমোন পরিবর্তন, গর্ভধারণকালীন ইনফেকশন, এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার অভাব মিলিতভাবে এই ঝুঁকিকে ত্বরান্বিত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের নারীদের প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ প্রসবের পর জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাথমিক লক্ষণ যেমন অস্বাভাবিক রক্তপাত, পেটে ব্যথা বা অনিয়মিত মাসিক চিহ্ন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শুধু চিকিৎসা নয়, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিও জরুরি। নিয়মিত গাইনোকোলজিস্টের পরিদর্শন, সঠিক পুষ্টি, এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে এই ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, গ্রামীণ এবং দূরবর্তী অঞ্চলের নারীরা সচেতন না হওয়ায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং এনজিওগুলোকে প্রাথমিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসবের পর নারীর স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব না দিলে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি শুধু বাড়বে না, দীর্ঘমেয়াদে জীবনধারণকেও বিপন্ন করতে পারে।