
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, গত ৫৩ বছরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা খুনি ও ফ্যাসিস্টদের জন্ম দিয়েছে। সেই ব্যবস্থায় বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে, দেশ ধ্বংসের পথে গেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা এই ফ্যাসিস্ট তৈরির নির্বাচন আর বাংলার জমিনে দেখতে চাই না।”
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি চালু হলে দেশে একটি সুষম সংসদ তৈরি হবে। অথচ এর বিরোধিতা করছে একটি গোষ্ঠী। তিনি জানান, বর্তমানে ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে—কোনো দেশ এটি বাতিল করেনি, বরং নতুন নতুন দেশে এটি চালু হচ্ছে।
সুজনের জরিপের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। যারা চায় না, তারা জনগণের স্বার্থ নয়, ব্যক্তিস্বার্থেই বিরোধিতা করছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা গণভোটের ব্যবস্থা করুন, জনগণের কাছে পাঠান—দেখবেন দেশের মানুষ কী চায়।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ টেনে চরমোনাই পীর বলেন, খুনিদের বিচার দৃশ্যমান করা ও মৌলিক সংস্কার আনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এ অবস্থায় যদি আবার যেনতেন নির্বাচন করে চাঁদাবাজদের পুনর্বাসন করতে চান, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো।”
এ সময় তিনি আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত প্যানেল উপস্থাপন করেন এবং তাদের জন্য দোয়া কামনা করেন।
সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ও মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ।
সমাবেশ থেকে সাত দফা ঘোষণা পাঠ করেন ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহকারী মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, কে এম আতিকুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেকার তারিকসহ আরও অনেকে।




























