
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য অব্যাহত থাকলে ভারত নীরব থাকবে না এবং প্রয়োজনে “উচিত শিক্ষা” দিতে বাধ্য হবে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে একাধিকবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে আলাদা করার বিষয়ে বক্তব্য এসেছে। এসব মন্তব্যকে তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক বলে আখ্যায়িত করেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ভাষায়, ভারত একটি বৃহৎ রাষ্ট্র, পারমাণবিক শক্তিধর এবং বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ, এমন দেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের মানসিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না এবং বাংলাদেশকে সব বিষয়ে একতরফাভাবে সহযোগিতা করাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। এ ধরনের বক্তব্য চলতে থাকলে ভারত চুপ করে থাকবে না বলেও তিনি সতর্কবার্তা দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য থেকেই মূলত এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই নেতার বক্তব্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে হুমকির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় পক্ষ।
এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে কূটনৈতিক অঙ্গনেও। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে নয়াদিল্লিতে তলব করেছে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
একই সঙ্গে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বুধবার দুপুর থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হয়। যাদের ভিসা জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল, তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ঢাকায় ভারতীয় মিশনের নিরাপত্তা ঘিরে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক। পাশাপাশি বাংলাদেশে সংঘটিত কিছু ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যাপ্ত তদন্ত বা তথ্য আদান-প্রদান না হওয়ার বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বহু স্তরের পারস্পরিক সহযোগিতা ও জনগণের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে।




























