
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক ফ্লোটিলায় বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ‘কনসায়েন্স’ নামের প্রধান জাহাজে আছেন, যেখানে আরও কয়েকশো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী ও পরিবেশকর্মী রয়েছেন।
শহিদুল আলম শুক্রবার ফেসবুক লাইভে জানান, “আমাদের জাহাজ সবচেয়ে বড়, সঙ্গে আরও আটটি ছোট নৌকা আছে। আমরা ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনি টাইম জোনে পৌঁছেছি। স্থানীয় মানুষরা সমুদ্রতীরে আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে।”
ফ্লোটিলাটি স্পেন থেকে ৩১ আগস্ট যাত্রা শুরু করে, এবং এতে ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি এনকোসি ম্যান্ডেলা, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী ও রাজনৈতিক কর্মী।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের তথ্য অনুযায়ী, ইতালীয় ও ফরাসি পতাকাবাহী দুটি নৌকা ইতালির ওট্রান্টো ছেড়ে চলাচল শুরু করেছে, পরে সেগুলোতে যোগ দিয়েছে আরও একটি নৌকা। সব মিলিয়ে এখন গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ১১টি জাহাজ। এই বহর মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নজর আকর্ষণ করছে ইসরাইলি অবরোধের প্রতি।
শহিদুল আলম বলেন, “যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু গাজার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা প্রস্তুত। এটা কেবল খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার অভিযান নয়, বরং মানবতার পক্ষের পদক্ষেপ।”
গাজার মানবিক অবস্থা ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে থাকা মানুষদের শহর ছাড়তে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ফ্লোটিলার মাধ্যমে শহিদুল আলম ও তার সহকর্মীরা মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক মানুষ তাদের সাহসী পদক্ষেপকে মানবতার জন্য প্রেরণার প্রতীক হিসেবে দেখছে।
সূত্র: আল-জাজিরা, আনাদোলু, দ্য গার্ডিয়ান





























