আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক:দুবাইয়ের মাঠে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ শুরু করল সুপার ফোরে দুর্দান্তভাবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তেজনা আর উল্লাসের সমন্বয় ধরে রাখল সমর্থকরা।
ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছিলেন, “এখন থেকে ম্যাচটা একমাত্র বাংলাদেশেরই। জেতাটাই স্বাভাবিক, হেরে বসলে নিজেদের ভুলে হেরে যাবে।”
শেষ ওভারের শুরুতেই জাকের আলী চার মেরে মনে করালেন জয় সহজেই আসতে পারে। কিন্তু স্কোর সমতায় তার বিদায়ের পর পরিস্থিতি নতুন মোড় নিল। শেখ মাহেদীর আউটের পর মনে হচ্ছিল ৯ বছর আগে বেঙ্গালুরুর দুঃস্বপ্ন যেন ফিরে এসেছে। তবে নাসুম আহমেদ সেটাকে থামালেন, একটি রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ নিশ্চিত করল ৪ উইকেটে জয়। যদিও এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের মত অবস্থা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশী সমর্থকদের মধ্যে। টাইগার সমর্থকরা খেলা শেষে জানালেন, ক্রিকেটাররা সবসময় আমাদের হার্ট দুর্বল করে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে।
ম্যাচের শুরুতে শ্রীলঙ্কান ওপেনাররা শক্তিশালী শুরু দিয়েছিল, ৫৩ রান তুলে দুবাইয়ের গ্যালারিকে চুপ করিয়ে। দাসুন শানাকার ৬৮ রানের ইনিংস শেষ পর্যন্ত লঙ্কান ইনিংসের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়। এক সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হাত ফসকেই যাচ্ছে, কারণ বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুও হয়নি ঝুঁকিমুক্ত।
কিন্তু সাইফ হাসান দ্রুত ব্যাট ধরেন এবং দলকে আক্রমণাত্মক খেলায় নেতৃত্ব দেন। পাওয়ারপ্লের শেষ পর্যন্ত তিনি এবং লিটন দাস মোমেন্টাম ধরে রাখেন। সাইফের বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয় ব্যাট হাতে তুলে নেন এবং কামিন্দু মেন্ডিসের বিরাট ওভারের পরে দলকে প্রয়োজনীয় রান থেকে দূরে সরিয়ে নেন।
শেষ পর্যায়ে শামীম পাটোয়ারী আগেভাগে দৌড় দিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলেন, আর জাকের আলী কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করেন।
এই জয় বাংলাদেশের জন্য বিশেষ, কারণ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ মাত্র চতুর্থবার হারাল। এর আগে ২০১২ ও ২০১৮ ওয়ানডে এশিয়া কাপে, আর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনবার হেরেছিল বাংলাদেশ। আজকের জয় বাংলাদেশের সুপার ফোরের শুভসূচনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।