
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় আবারও ঘটল নির্মম ট্র্যাজেডি। গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে আধাভাসা অবস্থায় থাকা একটি নৌকা থেকে কমপক্ষে ১৭ জন অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোরে ক্রিটের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ২৬ নটিক্যাল মাইল (৪৮ কিলোমিটার) দূরে ভাসমান নৌকাটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর দ্রুত অভিযান চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। গ্রিস কোস্টগার্ডের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, মরদেহগুলো সবই তরুণ পুরুষদের, যারা নৌকার দুই পাশে বসে গাদাগাদি করে যাত্রা করছিলেন।
উদ্ধার তৎপরতার সময় নৌকাটির ভেতরে পানি ঢুকে দ্রুত ডুবে যাচ্ছিল। এ সময় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জীবিতরা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়া, খাবার ও পানির ঘাটতি এবং ঠান্ডা থেকে রক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, এই তিন কারণেই নৌকাটি টিকে থাকতে পারেনি।
গ্রিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এতে নিশ্চিত হবে, তাদের মৃত্যু পানিশূন্যতা, ঠান্ডা নাকি অন্য কোনো কারণে হয়েছে।
এই নৌকাটি প্রথম দেখতে পায় তুরস্কের একটি কার্গো জাহাজ। তারা সঙ্গে সঙ্গে গ্রিস কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে গ্রিস কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ও ইউরোপীয় সীমান্তরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্স উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়।
লিবিয়া–গ্ৰিস–ইউরোপ রুট এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৬,৭৭০ জনের বেশি আশ্রয়প্রার্থী ক্রিটে পৌঁছেছেন। লিবিয়ায় গাদ্দাফি পতনের পর চলমান অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে মানুষ এখন আরও ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিচ্ছে।
গ্রিস সরকার গত জুলাই থেকে নতুন আশ্রয় আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। ফলে শরণার্থীদের অনেকে অবৈধ ও বিপজ্জনক নৌপথেই ইউরোপে পৌঁছানোর ব্যর্থ চেষ্টায় জীবন হারাচ্ছেন।



























