আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে বসবাসকারী সব নাগরিককে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ‘হিন্দু’ হিসেবে আখ্যা দিলেন দেশটির হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত। রোববার বেঙ্গালুরুতে একাধিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের ভূমিতে জন্ম নেওয়া সবাই হিন্দু। মুসলিম বা খ্রিস্টান যে-ই হোন, আলাদা পরিচয় নয়, তাদেরও ভারত মাতার সন্তান হিসেবে আসতে হবে।
ভাগবত আরও দাবি করেন, আরএসএসে যোগ দিতে চাইলে যে কোনো ধর্মের মানুষ আসতে পারবেন, তবে সংগঠনের সভা বা কার্যক্রমে অংশ নিতে হলে ‘হিন্দু সমাজের সদস্য’ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে হবে। তার মতে, হিন্দু মানে ভারত মাতার সন্তান। সবাই একই শেকড়ের বংশধর। কেউ কেউ হয়তো তা জানেন না বা ভুলে গেছেন।
তিনি বলেন, সংস্থার কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষ গঠন ও দায়িত্ববান নাগরিক তৈরি করা। কোনো বিশেষ সুবিধা সংগঠন কাউকে দেয় না, প্রত্যেককে নিজের দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হবে।
আরএসএস প্রধান আরও বলেন, সংগঠনের মূল লক্ষ্য ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ধারণা, এ নীতি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তবে অন্যান্য বিষয়ে পরিবর্তন আসতে পারে। নারী শাখা ও সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বক্তৃতায় জাতীয় পতাকা প্রসঙ্গেও কথা বলেন ভাগবত। তার দাবি, আরএসএস প্রতিষ্ঠার সময় ত্রিবর্ণ পতাকা নির্ধারণ হয়নি। saffron (ভাঙওয়া) পতাকা ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আজও তা সংগঠনের সম্মানের প্রতীক। তিনি আরও জানান, বিজেপিকে আরএসএস সমর্থন করে আদর্শগত কারণে, বিশেষ করে রাম মন্দিরের বিষয়টিতে সমর্থনের জন্য।
বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি ভারতে সংখ্যালঘুদের নিয়ে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে ভাগবতের এই বক্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
সূত্র: Al Jazeera