আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তার সাজা লঘুদণ্ড হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার পৌনে তিনটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার নির্দেশে দেশজুড়ে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত দমনপীড়ন চালানো হয়, যার ফলে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া আশুলিয়ায় ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে ছাত্রদের গুলি করে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান সরাসরি দায়ী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল জানিয়েছে, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করায় তার সাজা কমিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের দেখা মিলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও সেনাবাহিনীও দায়িত্ব পালন করছে।
এ বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ প্রথম বিচারের রায় ঘোষিত হলো। রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।