আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলামি জীবন ডেস্ক: প্রতিটি নতুন সকালই আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অপার নেয়ামত। এই সকালকে যদি আমরা কুরআন-হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী শুরু করি, তাহলে আমাদের জীবনে নামবে অগণিত বরকত, প্রশান্তি ও সফলতা। ফজরের সালাত এই বরকতের মূল চাবিকাঠি। সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমলও আছে, যা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের শিখিয়েছেন।
পবিত্র কুরআনে কুরআনের আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেধ,
وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ
“সূর্যোদয়ের আগে (ফজরের সময়) আপনার রবের প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করুন।”
সূরা ক্বাফ: ৩৯
এই আয়াত প্রমাণ করে যে, ফজরের সালাতের পর জিকির-আজকার করা এক গুরুত্বপূর্ণ আমল।
ফজরের সালাতের মহা ফজিলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
« مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ »
“যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকে।” সহীহ মুসলিম
আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে..
« بَارَكَ اللَّهُ لأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا »
“আমার উম্মতের সকালকে আল্লাহ বরকতময় করেছেন।”
সুনান আত-তিরমিযি
যে আমলগুলো ফজরের পর করলে দিন হবে বরকতময়:
১. ফজরের সালাত জামাআতে আদায় করা
এই সালাত জামাআতে পড়লে সারা দিনের জন্য আল্লাহর হেফাজত পাওয়া যায়।
২. ফজরের পর কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করা
রাসূল ﷺ বলেন, “যে ব্যক্তি ফজর পড়ে বসে থাকে এবং সূর্য ওঠার আগে পর্যন্ত আল্লাহকে স্মরণ করে, তার জন্য রয়েছে পূর্ণ হজ ও উমরার সওয়াব।” (তিরমিযি)
৩. সকালবেলা জিকির ও দোয়া
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ও “সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার” এই সহজ জিকিরগুলো বারবার পড়ুন।
৪. গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সকালেই শুরু করুন
রাসূল ﷺ সকালকে বরকতময় করেছেন, তাই রিজিকের সন্ধান, পড়াশোনা, নতুন উদ্যোগ সকালেই শুরু করুন।
৫. ফজরের পরে না ঘুমিয়ে উপকারী কাজে ব্যস্ত থাকা
ইবনে কায়্যিম (রহ.) বলেন, “ফজরের পর ঘুমানোর ফলে রিজিকের বরকত কমে যায়, দিন অলসতায় কাটে।”
ফজরের সালাতের মাধ্যমে দিন শুরু করুন, ফজরের পর কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির করুন, উপকারী কাজের পরিকল্পনা করুন, দেখবেন, আপনার জীবনে নামবে বরকত, প্রশান্তি আর সাফল্য।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ফজরের সালাতের মাধ্যমে দিন শুরু করার তাওফিক দিন, আমিন।