আওয়ার টাইমস নিউজ।
অর্থনীতি ডেস্ক: রেকর্ড দামের খুব কাছাকাছি পৌঁছানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করেই বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু। বিনিয়োগকারীরা লাভ তুলে নেওয়ার কৌশলে বিক্রির দিকে ঝুঁকায় এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা কমেছে, এমন ধারণা তৈরি হওয়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ধাতুর চাহিদা কমে যায়। ফলে বাজারে চাপ সৃষ্টি হয়।
সোমবার লেনদেনে স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম একদিনে প্রায় দুই শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৪৫৫ ডলারের ঘরে নেমে আসে। এর আগে মাত্র কয়েকদিন আগেই স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিল। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিউচার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
রুপার বাজারে দরপতনের মাত্রা ছিল আরও বেশি। স্পট রুপার দাম পাঁচ শতাংশের বেশি কমে আউন্সপ্রতি প্রায় ৭৫ ডলারে নেমে আসে। অথচ দিনের শুরুতেই রুপার দাম নতুন রেকর্ড গড়ে ৮৩ ডলারের ওপরে উঠেছিল। হঠাৎ এই পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা বাড়িয়েছে।
শুধু স্বর্ণ ও রুপাই নয়, প্ল্যাটিনাম ও প্যালাডিয়াম বাজারেও বড় ধরনের ধস দেখা গেছে। প্ল্যাটিনামের দাম একদিনে প্রায় সাত শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ২ হাজার ২৮০ ডলারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে, যা এর আগেই রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল। অন্যদিকে শিল্পখাতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ধাতু প্যালাডিয়ামের দাম আরও বড় ধাক্কা খেয়ে প্রায় বারো শতাংশ কমে গেছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি কমাতে মুনাফা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা কমার ইঙ্গিত পাওয়ায় নিরাপদ সম্পদ হিসেবে ধাতুতে বিনিয়োগের চাপ হ্রাস পেয়েছে।
তাঁরা আরও জানান, মূল্যবান ধাতুর বাজারে এমন আকস্মিক উত্থান-পতন নতুন কিছু নয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্কভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।