আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকার মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। হত্যার নেপথ্যের কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও সুরতহালে পাওয়া চিত্রগুলো স্থানীয়দের এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরও হতবাক করেছে।
সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিহত আফরোজার শরীরজুড়ে ৩০টি জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার গলায়, গালে, হাতে ও বুকে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নাফিসার গলায় চারটি গভীর আঘাত এবং বুকের দুই পাশে চারটি ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর বাসা তল্লাশি করা হয়। বাথরুমে একটি চাইনিজ সুইচ গিয়ার ও একটি ধারালো ছুরি পাওয়া যায়, যা দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। পুলিশের ধারণা, হত্যার ধরন ও নৃশংসতা দেখে ঘাতক প্রশিক্ষিত।
ভবনের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিহতদের ঘরে গৃহকর্মী আয়েশা ৭টা ৫২ মিনিটে কালো বোরকা পরে প্রবেশ করেন। ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেসে বের হতে দেখা যায়। নাফিসার বাবা আজিজুল ইসলাম জানান, চার দিন আগে ওই গৃহকর্মীকে নিয়োগ দেন। রোববার বাসার মূল দরজার চাবি হারিয়ে গেলে সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার ইবনে মিজান জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যার আগে এবং পরে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত এগোচ্ছে।