
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্বাস্থ্য: বর্তমান সময়ে অনেক মা শিশুর জন্মের পরপরই বুকের দুধের বদলে ফর্মুলা বা গুঁড়ো দুধ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কারণ হিসেবে কেউ ব্যস্ত জীবনযাপন, কেউ অসচেতনতা, আবার কেউ ভুল ধারণাকে দোষ দিচ্ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাস শিশুর শরীর ও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফ একাধিক গবেষণায় দেখিয়েছে, জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোই শিশুর জন্য সর্বোত্তম। এতে থাকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি, এনজাইম ও পুষ্টি উপাদান, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, হজম শক্তি বাড়ায় এবং মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, ফর্মুলা দুধ কখনোই এই প্রাকৃতিক উপাদানের বিকল্প হতে পারে না। অনেক শিশুর মধ্যে ফর্মুলা দুধ খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, চর্মরোগ, ফুসফুসজনিত সংক্রমণ, এমনকি পরবর্তীতে ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি দেখা দেয়।
চিকিৎসকদের মতে, ফর্মুলা দুধ একটি কৃত্রিম বিকল্প, যেটি হয়তো প্রয়োজনের সময় ব্যবহারযোগ্য, তবে তা যেন কখনোই ‘অভ্যাস’ না হয়ে ওঠে। কারণ এতে থাকে প্রচুর চিনি, প্রিজারভেটিভ এবং কৃত্রিম উপাদান, যা শিশুর হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
শুধু শিশু নয়, মায়ের জন্যও বুকের দুধ খাওয়ানো উপকারী। এটি প্রসব, পরবর্তী রক্তপাত কমায়, জরায়ুর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে সহায়তা করে এবং স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ফর্মুলা দুধ ব্যবহারের আগে একবার অন্তত সচেতন মা-বাবার ভাবা উচিত, এই বিকল্পের কারণে তাঁদের সন্তান আজীবনের জন্য কোনো ঝুঁকির মুখে পড়ছে কি না। সন্তানকে সঠিক পুষ্টি ও সুরক্ষা দিতে হলে প্রাকৃতিক পথ মায়ের দুধই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ভরসা।
Sources: WHO, UNICEF, Mayo Clinic




























