
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে ঘুম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, স্মার্টফোনের নীল আলো, এবং বিভিন্ন চাপে শিশুরা প্রায়ই পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম কেবল বিশ্রাম নয়; এটি সুস্থ জীবনের একটি মূল স্তম্ভ। যথাযথ ঘুম শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বয়স অনুযায়ী ঘুমের সময়সূচি
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের বয়স অনুসারে ঘুমের সময় হওয়া উচিত-
নবজাতক (0-৩ মাস) : দৈনিক ১৪-১৭ ঘণ্টা
শিশু (৪-১২ মাস) : দৈনিক ১২-১৬ ঘণ্টা
টডলার (১-২ বছর) : দৈনিক ১১-১৪ ঘণ্টা
প্রি-স্কুলার (৩-৫ বছর) : দৈনিক ১০-১৩ ঘণ্টা
স্কুলগামী শিশু (৬-১২ বছর) : রাতে ৯-১২ ঘণ্টা
কিশোর (১৩-১৮ বছর) : রাতে ৮-১০ ঘণ্টা
ঘুমের অভাবে ঝুঁকি-
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শিশুর মধ্যে মনোযোগের সমস্যা, শেখার ক্ষমতার হ্রাস এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়া সাধারণ। দীর্ঘমেয়াদে, ঘুমের অভাব হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ায়।
ভালো ঘুমের জন্য সহজ টিপস
১. রাতে চিনি, ক্যাফেইন বা অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন, টিভি ও ল্যাপটপ বন্ধ করুন।
৩. বেডরুমে যতটা সম্ভব অন্ধকার রাখুন।
৪. ঘুম ভাঙানোর জন্য ফোন নয়, অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন।
৫. ঘরের তাপমাত্রা ১৮-২০° সেলসিয়াস রাখুন।
৬. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্য এবং সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে ঘুমকে অবহেলা না করে দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অভ্যাস হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
সূত্র: ডেভিস হেল্থ, মায়ো ক্লিনিক



























