আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলামী জীবন ডেস্ক: সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সবচেয়ে সম্মানিত ও বরকতময় দিন হলো পবিত্র জুমার দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য শুধু সাপ্তাহিক ঈদ নয়, বরং এমন একটি দিন যখন বিশেষ কিছু ইবাদত ও আমল একজন মুমিনের দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির পথে অমূল্য অবদান রাখতে পারে। তারই একটি মহান আমল হচ্ছে পবিত্র কুরআনের ১৮তম সূরা সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
ইসলামী শরীয়তে বর্ণিত আছে, জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার অন্তরকে এক সপ্তাহ নূরের আলোতে আলোকিত রাখেন। হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন—
مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْكَهْفِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّورِ مَا بَيْنَ الجُمُعَتَيْنِ
অর্থাৎ, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত নূর ছড়িয়ে পড়বে।” (সহীহ আল-জামে: ৬৪৭০)
আরেকটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ
অর্থাৎ, “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।” (সহীহ মুসলিম: ৮০৯)
ধর্মীয় বিশ্লেষকরা বলেন, সূরা কাহাফের চারটি অনন্য ঘটনার মাধ্যমে একজন মুসলিম শিখতে পারে কীভাবে আকীদাহ, সম্পদ, জ্ঞান ও ক্ষমতার পরীক্ষার মুখে ঈমান অটল রাখা যায়। এই সূরাই ফিতনার যুগে একজন মুমিনের আত্মিক ঢাল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা নিয়মিত জুমার দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করেন, তারা আল্লাহর হেদায়াতের আলোতে পথ চলার অনুপ্রেরণা পান।
ইসলামী স্কলারদের পরামর্শ, জুমার দিন সূর্যোদয় থেকে মাগরিব পর্যন্ত যে কোনো সময় সূরা কাহাফ পড়া যায়। শুধু আরবি নয়, অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝে পড়ার মাধ্যমে একজন মুমিন সূরার অন্তর্নিহিত শিক্ষা সহজে জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান— জুমার দিনের এই মহা আমলকে হেলাফেলা না করে নিয়মিত চর্চা করুন, আত্মিক শক্তি অর্জন করুন এবং আল্লাহর রহমত ও হিফাজত প্রাপ্ত হন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ আমলটি জীবনে বাস্তবায়নের তৌফিক দিন। আমীন।