
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩২)। ঘটনার পেছনের নাটকীয় ও রোমহর্ষক রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে পুলিশের তদন্তে। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনার দিন এক যুবক প্রকাশ্যে এক তরুণীকে মারধর করছিল। সেই সময় কিছু যুবক চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে ওই যুবকের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখনই ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন।
ভিডিও ধারণ করতে দেখেই তুহিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় অস্ত্রধারীরা। তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা সেখানেই ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
চায়ের দোকানের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তুহিন ভাই দৌড়ে এসে দোকানে ঢুকেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই ৫-৬ জন লোক এসে তাকে রামদা দিয়ে কুপাতে থাকে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে গালি দিয়ে হুমকি দেয়। পরে আমি ভয়ে লুকিয়ে পড়ি।
নিহত সাংবাদিক তুহিন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’ এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) মো. রবিউল হাসান জানান, ঘটনার ভিডিও ধারণ করাই ছিল তুহিন হত্যার মূল কারণ। তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যেই হত্যার নাটকীয় পটভূমি উন্মোচিত হয়েছে।
পুলিশের একাধিক দল আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং ঘটনার পুরো চিত্র জানতে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বস্তর থেকে।




























