
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানের আল ফাশির শহরে গণকবরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যকলাপ স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক গবেষণা ল্যাবরেটরি (HRL) বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চিত্রগুলোতে শহরের বিভিন্ন এলাকা, মসজিদ ও শিশু হাসপাতলের কাছে মরদেহের প্রমাণ এবং রক্তাক্ত অঞ্চল লক্ষ্য করা গেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, গত ২৬ অক্টোবর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শহরটি দখল করে নেয়। ১৮ মাস ধরে অবরোধের পর শহরটির পতন ঘটে। স্যাটেলাইট চিত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ এবং আরএসএফের অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও মিল রয়েছে।
এইচআরএল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরদেহ অপসারণের প্রমাণও স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে। অন্তত দুটি মাটির অসঙ্গতি শনাক্ত করা হয়েছে, যা একটি মসজিদ ও শিশু হাসপাতালের কাছাকাছি গণকবরের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া হাসপাতাল ও শহরের অন্যান্য অংশ থেকে মরদেহের মতো বস্তুগুলো অদৃশ্য হওয়া দেখা গেছে, যা নির্দেশ করে যে লাশগুলি পরে সরানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগে জানিয়েছিল, আল সৌদি হাসপাতালে ৪৬০-এর বেশি রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়। আরএসএফ এখন শিশু হাসপাতালটিকে আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। নতুন চিত্রগুলো ওই এলাকায় চলমান গণহারে হত্যার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহর দখলের পর অন্তত ৩৪টি মরদেহের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, এটি হত্যা কার্যক্রমের সামগ্রিক মাত্রার একটি ন্যূনতম অনুমান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। আল ফাশিরের পতনের পর দারফুর অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন অঞ্চল পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট চিত্রই প্রধান তথ্যসূত্র হিসেবে কাজ করছে।




























