আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামে একজন ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন।
ঘটনা শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ঘটেছে। হামলার পর হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝি এবং তার তিন সহযোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে এসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন যখন তার চাউল ভঙ্গার মেশিনে কাজ করছিলেন, তখন তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করে এবং লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার এ এস এম আরিফ জানান, মেহরাজের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
মেহরাজ উদ্দিন জানান, কয়েকদিন ধরে ইউনুছ মাঝি ও তার সহযোগীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পূর্বেও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দোষীদের আইনের আওতায় আনার এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল আলম বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।