
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: কী হওয়ার কথা ছিল, আর কী হলো!
শিরোনামটা হতে পারত-‘এভাবেও ফিরে আসা যায়!’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো উল্টোটা। জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ হেরে গেল ৪-৩ গোলে, সঙ্গে ভেঙে গেল এশিয়ান কাপের স্বপ্নও।
ম্যাচের শুরুটা ছিল একেবারে স্বপ্নের মতো। ম্যাচের আগে যাকে নিয়ে হংকং কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড বলেছিলেন, “সে হলে বেঞ্চে বসত”-সেই হামজা চৌধুরীই এনে দিয়েছিলেন প্রথম গোল। সরাসরি ফ্রি কিক থেকে তার দুর্দান্ত শটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধজুড়ে দাপট ছিল টাইগারদের। হামজাকে রুখতে প্রতিপক্ষ যে খেলোয়াড়কে দায়িত্ব দিয়েছিল, তাকেই ফাঁকি দিয়ে তিনি ছুটেছেন সারা মাঠ জুড়ে।
তবে সেই ছন্দ হারিয়ে যায় নিজেদের ভুলে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে না পেরে বল পৌঁছে যায় এভেরতন কামারগোর পায়ে। তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরান দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ একের পর এক ভুলে ম্যাচটা প্রায় হস্তান্তরই করে বসে। ৫০তম মিনিটে ডিফেন্ডার সোহেল রানা জুনিয়রের ভুলে বল পেয়ে যান বদলি হিসেবে নামা রাফায়েল মেরকেজ। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। এর কিছু পরেই আরেকটি ভুলে আরও এক গোল হজম করে বাংলাদেশ।
তবে ৮৪ মিনিটে আবারও ম্যাচে ফেরে লাল-সবুজেরা। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে তৈরি হওয়া গোলমাল সামলাতে পারেননি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক; সুযোগ বুঝে বল জালে জড়ান শেখ মোরসালিন। জাতীয় স্টেডিয়াম তখন গর্জে ওঠে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তনের আশায়।
ইনজুরি টাইমের অষ্টম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় জায়ান আহমেদ কর্নার আদায় করেন, সেখান থেকেই আসে বাংলাদেশে তৃতীয় গোল। শমিতের হেডে বল যখন জালে ঢোকে, তখন মনে হচ্ছিল, রচিত হতে যাচ্ছে এক অবিশ্বাস্য কামব্যাকের গল্প।
কিন্তু শেষ মুহূর্তেই সব আশা ভেঙে যায়। সাদ উদ্দিনের ভুলে বল চলে যায় মেরকেজের পায়ে, তিনি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। আর তাতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা।
র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে ৩ গোল করেও জিততে না পারা— এটাই এখন সবচেয়ে বড় হতাশা।
ম্যাচ শেষে হামজা চৌধুরীর মুখের অভিব্যক্তিই যেন বলছিল সব— “এই হার, নিজের ভুলে আত্মঘাত।”



























