
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: কালো ধোঁয়ায় ঢাকা ছিল আকাশ, বাতাসে ভেসে আসছিল পোড়া মানুষের গন্ধ। অথচ ঠিক এই জায়গাটায় প্রতিদিন সকাল হতো ঘন্টাধ্বনির সাথে, ছোট ছোট সোনামণিদের আওয়াজে মুখর হতো পুরো এলাকা। শিশুদের কোলাহল, শিক্ষকের ডাকে ‘জি স্যার’ বলে ওঠা,সবকিছু যেন এক সিনেমার মতো ছিল।
কিন্তু আজ সেখানে কেবল স্তব্ধতা। কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে আছে কারো স্বপ্ন, কারো প্রথম ক্লাস, কারো টিফিনবক্সে রাখা মায়ের হাতে রান্না করা ভাত আর ডিমভাজি। মাটিতে পড়ে আছে ছোট ছোট জুতো, যেগুলোর মালিক আর কোনোদিন স্কুলব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে আসবে না। বইগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যেন দগ্ধ পৃষ্ঠাগুলোর ভেতরেও আর্তনাদ।
একটি দুর্ঘটনা একটিমাত্র স্কুল নয়, পুরো জাতিকে কাঁদিয়ে দিয়েছে। প্রতিটি মায়ের বুকের ভিতর আজ ভয়, এই যদি হতো আমার সন্তান? যারা সন্তান হারিয়েছে, তারা তো এখন শুধু নিঃশ্বাস নিচ্ছে, বেঁচে নেই আর।
এই ব্যথার কোনো ভাষা নেই, পুরো পৃথিবী ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিলেও, এই ক্ষতির সামান্য পরিমাণও পূরণ করতে পারবে না। যারা চলে গেছে, তারা আর কখনো ফিরে আসবে না, তবে আমাদের হৃদয়ে তারা থেকে যাবে চিরদিন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রতিটি মায়ের হৃদয়ে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। বুকের ভেতর যেন এক অদৃশ্য আত্মচিৎকার প্রতিনিয়ত হাহাকার করে ওঠে,শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, চোখের পাতা ভিজে যায় অজান্তেই। ভয় আর আতঙ্ক যেন এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে।
প্রতিটি সংবাদ শুনে, প্রতিটি ছবিতে চোখ পড়তেই নিজের সন্তানের মুখটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই যন্ত্রণাটা সহ্য করা সত্যিই খুব কষ্টদায়ক… আজ শুধু সন্তান হারানো পরিবারগুলো নয়, প্রতিটি মা-বাবার হৃদয় কেঁদে উঠেছে একসাথে।




























