আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আগামী বছর লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্যাংকগুলো। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রধান কারণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ছে এবং দামও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
প্রধান পূর্বাভাসসমূহ:
J.P. Morgan বলেছে, ২০২৬ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম $৪,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
Goldman Sachs $৩,৭০০ থেকে $৪,০০০ পর্যন্ত দাম ওঠার পূর্বাভাস দিয়েছে।
Bank of America মধ্য ২০২৬ সালের মধ্যে দাম $৪,০০০ পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখিয়েছে।
HSBC স্বর্ণের গড় দাম $৩,১২৫ থেকে $৩,৫০০ পর্যন্ত থাকতে পারে।
Reuters-এর জরিপ অনুযায়ী, স্বর্ণের গড় দাম ২০২৬ সালে $৩,০০০ এর উপরে থাকতে পারে।
তবে কিছু সংস্থা সতর্ক করেছেন। Citi বলছে, ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে দাম সাময়িকভাবে $২,৫০০–$২,৭০০ পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি এখনও রয়েছে।
দাম বৃদ্ধির কারণসমূহ
১. মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হারের প্রভাব: বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাও দাম বাড়াচ্ছে।
২. কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয়: রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য স্বর্ণ ক্রয় বাড়ানো হচ্ছে, যা সরাসরি বাজারে প্রভাব ফেলছে।
৩. ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা এবং অন্যান্য ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করাচ্ছেন, স্বর্ণ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য নিরাপদে বিবেচিত হলেও, স্বল্পমেয়াদে দাম ওঠানামা হতে পারে। তাই বিনিয়োগকারীদের সাবধানতার সঙ্গে বাজার পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।