
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ থেকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তিন দিনের এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
এই সফরের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং যৌথ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কূটনৈতিক আলোচনা করা।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী, সফরের প্রধান তিনটি লক্ষ্য হচ্ছে:
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন শিল্পখাতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে আগ্রহী। এর আগে সৌদি প্রিন্স ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে সেটি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরে গা’জা পরিস্থিতি নিয়ে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এবং সৌদি আরব–ই’স’’রা’’ই’’লের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ইস্যুতে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন আশা করছে, এই আলোচনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সফরের অংশ হিসেবে ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদবিরোধী যৌথ লড়াইয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনা করবেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা জোরদার করাও এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব পুনরায় জোরদার করতে চায়। একদিকে যেমন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণ হবে, অন্যদিকে ই’স’’রা’’ই’’লের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত প্রভাব বজায় রাখতে চাইছে।