আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাগরে ফেলে দেওয়ার ভয়ানক অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি নয়াদিল্লি থেকে আটক করা ৪০ জন রোহিঙ্গাকে চোখ বেঁধে প্রায় ১,৫০০ মাইল দূরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যায় ভারতীয় পুলিশ। এরপর তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে তোলা হয় এবং মিয়ানমারের তানিনথারি উপকূলের কাছে সাগরে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মতে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। শরণার্থীদের মধ্যে কিশোর, বয়স্ক এমনকি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীও ছিলেন। যদিও তারা সবাই কোনোমতে সাঁতরে তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন, তবে অভিযুক্ত নৌসেনাদের বিরুদ্ধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে বরাবরই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। আইন অনুযায়ী দেশটিতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ এ ঘটনাকে “অত্যন্ত ভয়ংকর ও অমানবিক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং ভারত সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
এদিকে, একই ধরনের আরেকটি ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সম্প্রতি গুজরাট থেকে ৭৮ জন রোহিঙ্গাকে ধরে এনে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় ফেলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ১০ মে তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়েছিল এবং অনেকক্ষণ না খাইয়ে রাখা হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতা পরিপন্থী। জাতিসংঘ দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।