আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কর্মস্থলে ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা কিংবা সভা-সমাবেশে অংশ নেওয়ার মতো কাজ করলে চাকরি হারানোসহ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মতামত (ভেটিং) পাওয়ার পর খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত ধারাগুলোর উল্লেখ না থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত খসড়ায় চারটি অপরাধের কথা উল্লেখ রয়েছে।
প্রথমত, এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ানো যা অন্য সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। দ্বিতীয়ত, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই একক বা সমবেতভাবে ছুটি নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়া। তৃতীয়ত, অন্যদের দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে উৎসাহ দেওয়া বা প্ররোচিত করা। চতুর্থত, অন্য কারো দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া। এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত অথবা পদাবনতি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
এটি মূলত ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের কিছু বিধান সংশোধনের মাধ্যমে আরও কঠোর করে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিধানও এই খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একই বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’। এছাড়া ‘মৎস্য সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষাসামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ যাচাই করে সম্ভাব্য বাস্তবায়নযোগ্যতা, সময়সীমা ও প্রভাব বিশ্লেষণপূর্বক উপদেষ্টা পরিষদের সামনে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিভাগটি সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।