আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর সামরিক অভিযানে ১৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশু ও কিশোর নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই হৃদয়বিদারক তথ্য। নিহতদের মধ্যে রয়েছে এক বছরের নিচে ৯১৬ শিশু, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী ৪,৩৬৫ জন, ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী ৬,১০১ জন এবং ১৩ থেকে ১৭ বছরের ৫,১২৪ জন কিশোর-কিশোরী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়—এটি যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ এবং এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি। শিশুদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি সেনাদের বিমান হামলা ও স্থল আক্রমণের সরাসরি শিকার হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রেও অনিরাপদ অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছে হাজারো শিশু।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—তারা যেন এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে আইনি ও নৈতিক দায়ভার গ্রহণ করে, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয় এবং ইসরায়েলের এসব অপরাধের জন্য তাদের আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হঠাৎ করে ইসরায়েলি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। হামাস এই হামলাকে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সেনাদের বর্বর তাণ্ডবের প্রতিশোধ হিসেবে ব্যাখ্যা করে। এরপর থেকেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এক রকম 'গণহত্যার যুদ্ধ' শুরু করে।
চলমান যুদ্ধের মাঝে জানুয়ারিতে একবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও মার্চের ১৮ তারিখে তা ভেঙে পুনরায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বর্তমানে নেতানিয়াহুর সরকারের অধীনে এই আগ্রাসন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে।