আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চোখের সামনে পুরো পরিবার হারালেন চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জার। তার ১০ সন্তান ছিল। ভয়াবহ সেই হামলায় প্রাণ হারায় ৯ জনই। কেবল একজন সন্তান এবং স্বামী গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা. মুনীর আলবুরশ জানান, ডা. আলা’র স্বামী হামদি তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার মিনিট কয়েকের মধ্যেই ভয়াবহ বোমাবর্ষণ শুরু হয়। সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর।
নিহত শিশুদের এক আত্মীয় ইউসুফ আল-নাজ্জার কাতর কণ্ঠে বলেন, “আর না! দয়া করুন আমাদের উপর! আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সব দেশ, হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর কাছে আমরা দয়ার প্রার্থনা করছি। আমরা ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুতি আর মৃত্যুতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি!”
২৪ মে পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলমান হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৩,৯০১ জন, যার মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ১৬,৫০০ শিশু।
জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি অনুযায়ী, গাজার জনসংখ্যা এখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে। বহু মা অপুষ্টির কারণে সন্তানদের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। পানি ও জ্বালানির চরম ঘাটতিতে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার পরই ইসরায়েল গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার প্রতিটি ক্ষণে এখন শুধু ধ্বংস আর আর্তনাদ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি