আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষেরা প্রতিদিনই ব্যাপক বৈষম্য,ঘৃণা এবং কোন কোন সময়ে ব্যাপক সহিংসতার মুখোমুখিও হন। বার্লিনে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হওয়া একটি নতুন প্রতিবেদনে ঠিক এমনই একটি দুঃখজনক চিত্র উঠে এসেছে।
বিভিন্ন বৈষম্যবিরোধী সংস্থা, কাউন্সেলিং সেন্টার এবং বেসরকারি সংস্থার বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পুলিশের নথিভুক্ত অপরাধের পরিসংখ্যান ও মুসলমানবিরোধী বিভিন্ন ঘটনার নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দ্য ইনডিপেনডেন্ট গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন মুসলিম হস্টিলিটি (ইউইএম) এমনটা জানিয়েছে।
মুসলিমদের হেনস্থার বিষয় নিয়ে ১২ সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার সমন্বিত একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) এ প্রতিবেদনটি জার্মানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে ইউইএম জানিয়েছে, জার্মানিতে বসবাসরত মুসলিমরা নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম চরম বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জোর দিয়েই বলছেন,এর প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত বেশি। কারণ, মুসলিমদের মত মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ তাদের সঙ্গে ঘটা চরম দুঃখজনক বিরূপ আচরণ ও ঘৃণামূলক অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মুসলিদের জীবন অবশ্যই জার্মানির অংশ।’ ওই প্রতিবেদনটি গ্রহণের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন ‘জার্মানিতে বসবাসরত ৫৫ লাখ মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে বর্জন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, যা চরম ঘৃণা এবং ব্যাপক সহিংসতা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। এ সময় জার্মান মন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়টি অবশ্যই প্রকাশ্যে আনা এবং এখনো ব্যাপকভাবে বিরাজমান অসন্তোষের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
ওই প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, জার্মানিতে জন্ম নেওয়া সকল মুসলিমদের ‘বিদেশি’ হিসেবে দেখা হয়। এবং ইসলামক ধর্মকে ‘পশ্চাৎপদ ধর্ম’ মনে করা হয়। পাশাপাশি দেশটিতে হিজাব পরিহিত নারীরাই বিশেষ করে চরমভাবে তিরস্কার ও বিরূপ আচরণের সম্মুখীন হয়।