আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলায় এক হৃদয়বিদারক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) ভোররাতে গাজা সিটির দারাজ এলাকায় এই স্কুলটিতে বোমা নিক্ষেপ করলে কমপক্ষে ২০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি শহীদ হন। আহত হয়েছেন আরও অনেক, যাদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, উক্ত স্কুলটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বহু বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। ইসরায়েলের হামলার সময় অধিকাংশ মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে এখনো বহু মরদেহ আটকে আছে বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। সন্ত্রস্ত শিশুদের কান্না, আহতদের আর্তনাদ এবং বিধ্বস্ত পরিবারের আহাজারিতে গাজা শহর যেন মৃত্যুপল্লীতে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ধরনের বর্বর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৪,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার তথ্যমতে, এই সংখ্যা দিন দিন ভয়াবহভাবে বাড়ছে। ইতিমধ্যে ইসরায়েল গাজার প্রায় ৭৭ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এই নিষ্ঠুর হামলার ভিডিও ও ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিশ্ববাসীর হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়েছে।