আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের চারটি নতুন অপরাধ ও শাস্তির বিধান জারির পরও থামেনি প্রশাসনের অসন্তোষ। নির্দেশনাটি ২২ মে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হলেও ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা তা প্রত্যাহারের দাবিতে এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’-এর ব্যানারে আজ ২৭ মে থেকে দুই দিনের কলমবিরতিতে গেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে কর্মরত শত শত কর্মকর্তা। তাদের অভিযোগ, এই নির্দেশনার মাধ্যমে কোনো শুনানি ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত বা পদাবনতি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
আন্দোলনরত কর্মকর্তারা বলছেন, এটি কেবল শাস্তির বিধান নয়, বরং ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এরই মধ্যে মতপ্রকাশের কারণে ১২ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল শৃঙ্খলা ফেরানো হলেও বাস্তবে এতে বাড়ছে অসন্তোষ ও আস্থার সংকট। আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাতিল করে কর্মক্ষেত্রে ন্যায়ভিত্তিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসনের ভেতরে এই টানাপোড়েন এখন গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত একটি নির্বাচনের মুখোমুখি হওয়া সরকারের জন্য।