
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চল থেকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে জর্ডান। এই অর্জন শুধু তাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্যও একটি আবেগঘন মুহূর্ত, কারণ অতীতে এই দলের সাথেই সমানতালে লড়াই করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জর্ডানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও ফলাফল ছিল জর্ডানের পক্ষে—প্রথম লেগে এবং দ্বিতীয় লেগে বাংলাদেশ দল হারলেও সেই ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ দল সংগ্রাম করেছে সম্মানজনকভাবে, সীমিত সুযোগ ও অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও।
আর এখন সেই জর্ডানই জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের মতো ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে! এই দৃশ্য বাংলাদেশ ফুটবলের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবলে এক নতুন জাগরণ দেখা যাচ্ছে। হামজা চৌধুরীর মতো ইউরোপ ঘরানার খেলোয়াড় যখন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে খেলেন, তখন শুধু মাঠেই নয়, কোটি হৃদয়ে জ্বলে ওঠে আশার আলো।
তার সাথে সামি আল হাসান ও সোম আইনুর রহমানের মতো প্রবাসী তারকারাও যুক্ত হয়েছেন জাতীয় দলে। এদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের খেলার মান, ডিফেন্সিভ কৌশল এবং গেমপ্ল্যানেও এসেছে নতুনত্ব।
সম্প্রতি শক্তিশালী লেবাননের বিরুদ্ধে ১-১ গোলের ড্র কিংবা জর্ডানের বিপক্ষে সম্মানজনক লড়াই—সবই জানান দিচ্ছে, বাংলাদেশ এগোচ্ছে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ধাপে ধাপে উন্নতি করছে দলটি, আর ঘরোয়া ফুটবলেও তরুণ প্রতিভার জোয়ার বইছে।
জর্ডানের বিশ্বকাপ কোয়ালিফিকেশন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আজ যারা আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল, কাল তারা বিশ্বমঞ্চে।
ঠিক তেমনি, আগামী দিনে বিশ্ব ফুটবলের বৃহৎ আসরে বাংলাদেশকেও দেখা যেতে পারে—এই আশাই জাগাচ্ছে এখনকার এই অগ্রগতি। লাল-সবুজ পতাকার জয়গান গাইতে আমরা আর বেশি দূরে নই—শুধু দরকার সময়ের সঠিক ব্যবহার, কাঠামোগত উন্নয়ন আর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
বাংলাদেশের ফুটবলের উত্থান এখন কেবল স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব সম্ভাবনা। আর জর্ডানের এই ইতিহাস রচনা যেন আমাদের সেই পথচলায় অনুপ্রেরণার সেরা দৃষ্টান্ত।