
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন এক নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথে। এমন এক সময়ে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত শেষে জাতীয় ঈদগাহে তার প্রতি দেখা গেল ব্যতিক্রমধর্মী জনসমর্থন।
সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত। জামাতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা। নামাজ ও খুতবার পর মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন ড. ইউনূস।
নামাজ শেষে দেশের মঙ্গল কামনায় দোয়া চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন,
“সবাইকে আজ একসঙ্গে ঈদের জামাতে পেয়ে ভালো লাগলো। সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। এই পবিত্র দিনে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।”
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক এগিয়ে এসে ড. ইউনূসের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা জানান। এরপর আরও তিন উপদেষ্টার সঙ্গেও তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদগাহ ত্যাগের সময় প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে জনতার মধ্য থেকে উচ্চস্বরে শোনা যায়,
“স্যার, আপনাকে পাঁচ বছর চাই। দালালদের কথা শুনবেন না!”
জনতার এই কণ্ঠে যেন ফুটে উঠেছিল এক নতুন প্রত্যাশা ও বিশ্বাস—একজন অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ নেতৃত্বের অধীনে রাষ্ট্রের গঠনমূলক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে জনমত গড়ে ওঠে। গত ১৮ এপ্রিল ‘রাজু ভাস্কর্য’-এর সামনে অনশন করেছিলেন কয়েকজন তরুণ। এমনকি ১২ এপ্রিল ‘পাগলা মসজিদের’ দানবাক্সে জমা পড়া এক চিরকুটে লেখা ছিল,
“ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই—সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।”
সবশেষ ঈদের জামাতে এমন দৃশ্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিলো। জনতার হৃদয়ে যে এখনো একজন সৎ, সাহসী ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রতি আস্থা আছে—তার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটলো ঈদের পবিত্র দিনে।