আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোররাতে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় দেশটির অন্তত ২০ জন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা একে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।
হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ‘খাতামুল-আনবিয়া’ ঘাঁটির কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ। এ ছাড়া আইআরজিসির এয়ার স্পেস ইউনিটের প্রধান জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যাডমিরাল আলি শামখানিও হামলায় নিহত হন। নিহত বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত পরমাণু বিশেষজ্ঞরাও।
‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামক এই অভিযানে ইসরায়েল প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে। লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট।
হামলার পর পরই ইরান শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে অধিকাংশ আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইসরায়েলের দাবি, তারা ইরানের পারমাণবিক হুমকি ঠেকাতেই এই অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে ইরান একে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে উল্লেখ করেছে এবং কঠিন প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।