আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলকে সহায়তার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সরাসরি হুমকি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার তেহরান থেকে জারি করা এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে—যদি এই তিন দেশ ইসরায়েলকে ইরানের পাল্টা হামলা প্রতিহত করতে সাহায্য করে, তবে তাদের আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি, নৌযান এবং যুদ্ধজাহাজকে ‘প্রতিশোধের লক্ষ্যবস্তু’ করা হবে।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়—"ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো সরাসরি বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপের জবাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তার কাঠামো পুনর্নির্ধারিত হবে। পারস্য উপসাগরীয় ঘাঁটি ও জাহাজগুলো আমাদের পরবর্তী হামলার কেন্দ্রবিন্দু হবে।"
এই হুমকি আসে এমন সময়, যখন মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, তারা ইসরায়েলের দিকে নিক্ষিপ্ত ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কিছু অংশ ভূপাতিত করতে সহায়তা করেছে। তবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সক্রিয় সহায়তার কোনো নিশ্চিত প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
বিবিসি এবং আল-জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ইতিমধ্যেই তেহরানে তাদের দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি অভিযান চালিয়ে ইরানের অন্তত আটটি শহরে একযোগে বিমান হামলা চালায়, যাতে নিহত হয় কমপক্ষে ৭৮ জন এবং আহত হন ৩২০ জনের বেশি। ইরান পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলায় ইসরায়েলের বহু সামরিক ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে। এ হামলায় ইসরায়েলে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে এবং বহু আহত।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধাক্কা হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সরাসরি সূচনা হয়ে থাকতে পারে।