
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ নতুন এক বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। এই সংঘাতে ইসরায়েল যে ইরানের বাস্তব সামরিক সক্ষমতাকে যথাযথভাবে বিবেচনায় নেয়নি—এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন একজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক বিশ্লেষক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা ও ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (CSIS)’-এর বিশ্লেষক মাইকেল ওহানলন বলেন, “ইসরায়েল ইরানের কৌশলগত ও প্রতিরোধ শক্তিকে হালকাভাবে দেখেছে। এ ধরনের আচরণ ভবিষ্যতে বড় পরিণতির কারণ হতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “ইরানের প্রতিক্রিয়া কেবল সামরিক হামলা নয়, বরং এ অঞ্চলের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।”
সম্প্রতি তেহরানে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে ইরান দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় তেল আবিব, হাইফা ও অন্যান্য স্থানে। এতে ইসরায়েলের সামরিক এবং অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়।
মাইকেল ওহানলনের মতে, এই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে—ইরান কেবল প্রতিরক্ষামূলক নীতিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আক্রমণাত্মক সক্ষমতাও রাখে।
বিশ্লেষকের মতে, ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হয়তো ভেবেছিল ইরান ভীত হবে বা চুপ থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইরানের প্রতিরোধ ব্যবস্থা এখন অনেক বেশি সুসংগঠিত ও পরিপক্ব।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সংঘাত এভাবে বাড়তে থাকলে এটি শুধু ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—এতে জড়িয়ে পড়তে পারে হিজবুল্লাহ, সিরিয়া, এমনকি হুথি বিদ্রোহীরা। পাশাপাশি তুরস্ক ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্য এক ভয়াবহ যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। কূটনৈতিক উদ্যোগ ছাড়া সামরিক সংঘর্ষ থামানো কঠিন হবে।
সূত্র: আলজাজিরা, CSIS রিপোর্ট