২০শে জুলাই, ২০২৫, ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭
সর্বশেষ
ক্ষুধার্ত কিশোরকে খাবারের প্রলোভনে দু’জন মিলে বলাৎকার, ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে মৃত্যু! ধ্বংসের কিনারায় এ সমাজ
হাসপাতালে জামায়াত আমিরের পাশে মির্জা ফখরুল
বিধ্বস্ত গাজায় এক দিনে ৯০ বার বিমান হামলা চালিয়ে নি’কৃ’ষ্ট হা/য়/না ই’স’রা’ইল
তরুণ প্রজন্মের জন্য মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক
ছয় বছর পার হলেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি: শহীদ আবরারের বাবা
আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে: জামায়াত আমির
আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব: সাদিক কায়েম
পুরোনো খেলার নিয়ম বদলাতেই আমরা রক্ত দিয়েছি: নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু!
ভারত থেকে এনসিপি নেতাদের হত্যার নির্দেশ! শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামের নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
গ্রেপ্তার ইস্তাম্বুলের মেয়র, তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভ!
গোপালগঞ্জের সহিংসতায় আরও এক যুবকের মৃত্যু!
আ. লীগের আক্রমণ আমাদের দ্বিগুণ শক্তিশালী করেছে: নাহিদ ইসলাম
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুবাদের দাপুটে সূচনা, জাওয়াদ আবরারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১৩০ রানের জয়
পাকিস্তানে ভয়াবহ বৃষ্টি: ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬৩, পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা

সাবেক হাসিনা সরকারের আমলের তিন পুতুল ইসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি!

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: সাবেক আওয়ামী সরকারের আমলের বিতর্কিত নির্বাচনের দায়ে সাবেক তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির দাবি, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র ধ্বংসে এই কমিশনগুলোর বড় ভূমিকা ছিল।

শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, রোববার সকালে (২২ জুন) শেরেবাংলানগর থানায় মামলা দায়ের করা হবে। একইদিনে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছেও চিঠি হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

২০১৪ সালের নির্বাচন:
৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বর্জন ও সহিংসতা দেখা দেয়। তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের প্রার্থীরা। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচন:
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনিয়মের অভিযোগ তোলে বিএনপি। অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনের আগের রাতেই ব্যাপকহারে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করা হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২৮৮টি আসনে বিজয়ী হয়। সেই সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কে এম নুরুল হুদা, এবং কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও মাহবুব তালুকদার।

২০২৪ সালের নির্বাচন:
সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনেও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচন চলাকালীন ভোটার উপস্থিতির হার নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। শুরুতে বলা হয়, দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। পরে তা এক ঘণ্টার মধ্যে বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়। সিইসি হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ বললেও পরে তা সংশোধন করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সেই জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত