আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর নতুন করে উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যুদ্ধ কেবল শুরু মিস্টার ট্রাম্প। এখন আপনি শান্তির কথা বলছেন? আমরা এমনভাবে আপনার সঙ্গে ডিল করব যেন আপনি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিণতি বুঝতে পারেন। মুসলিমরা মৃত্যুকে ভয় পায় না।”
ইরান ইন্টারন্যাশনালের লাইভ সম্প্রচারে এই বার্তাটি প্রচারিত হলে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
ইরানের কট্টরপন্থী আইনপ্রণেতা হামিদ রাসাই বলেন, “এই জঘন্য কাজের কঠোর ও জোরালো জবাব দেওয়া হবে।” একইসঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, “এই মুহূর্ত থেকে এই অঞ্চলে অবস্থানকারী প্রতিটি আমেরিকান বেসামরিক ও সামরিক কর্মীকে বৈধ হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।”
এদিকে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বকে জানাতে পারি, ইরানে হামলা ছিল এক অসাধারণ সামরিক সাফল্য।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী মদদদাতা দেশটির পারমাণবিক হুমকি রুখে দেওয়া।” সেইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরান যদি এখনই শান্তি স্থাপন না করে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলা চালানো হবে।”
এই ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। পাল্টা অভিনন্দনে ট্রাম্প বলেন, “ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একটি টিম হিসেবে কাজ করেছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক বহুমাত্রিক যুদ্ধের দ্বার উন্মোচন করল, যার অভিঘাত হবে বিশ্বব্যাপী।
সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন, বিবিসি,