আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি সময়ে ইসলাম ধর্মের মহা পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন পোড়ানোর কিংবা অবমাননার ঘটনা যেন নিয়মিত ঘটেই চলছে। বিশেষ করে সুইডেন ও ডেনমার্ক’ এ দু’দেশ এ ভয়াবহ এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড ঘনঘন ঘটতে দেখা গিয়েছে। যেসব দেশেগুলোতে মহা গ্ৰন্থ আল কুরআন অবমাননা করা হচ্ছে, সে দেশগুলোকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর কুরআন অবমাননার দায়ে কঠিন মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।
রাশিয়ার চেচেন প্রজাতন্ত্রের এ মুসলিম প্রধান নেতা রমজান কাদিরভ পশ্চিমা বিশ্বে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় পুরো বিশ্বের মুসলিম নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। এবং তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষে কুরআন পুড়ানো অপরাধীদের যথাসাধ্য ‘মোকাবিলা’ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
টেলিগ্রামে এক বিশেষ বিবৃতিতে চেচেন নেতা কাদিরভ বলেছেন, ইউরোপে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন অবিরত অবমাননা মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি ‘অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করেছে। এই সময়ে মুসলিম রাষ্ট্রের নেতারা কোথায়? কেন তারা আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করতে দিচ্ছে এবং মুসলিম ও ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করার জন্য কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না? তারা কি সত্যিই আল্লাহর ক্রোধের চেয়ে প্রতিক্রিয়া এবং আমেরিকান ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাকে বেশি ভয় পায়?
ইউরোপের পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রমজান কাদিরভ বলেছেন, ইনশা-আল্লাহ্‘ আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। আমরা যখন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করব, তখন আমরা সেই সব দেশে যাব যারা কুরআনকে অপবিত্র করেছে। রাশিয়ায় অনেক মুসলিম আছে যারা এই ঘটনাকে উপেক্ষা করবে না।
রমজান কাদিরভ আরো বলেন, যদি আমরা শয়তানের দাসত্ব বন্ধ না করি, তাহলে তারা আগামীকাল আমাদের মসজিদগুলোতে হানা দিবে। তারা আমাদের সন্তানদের শিক্ষা দেবে যে প্রার্থনা কোনো ফ্যাশন নয় এবং আমাদের জনগণকে পরিচয়হীন জাতিতে পরিণত করবে এবং যাদের কাছে ডলারই হবে দেবতা।
এর আগে মুসলমানদের মহাগন্থ আল কুরআন পোড়ানোর ঘটনাকে একটি নেক্কারজনক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।