২০শে জুলাই, ২০২৫, ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭
সর্বশেষ
এনসিপির গঠনতন্ত্র ঠিক নেই, দলের তহবিলের পরিমাণের তথ্যও নেই
ক্ষুধার্ত কিশোরকে খাবারের প্রলোভনে দু’জন মিলে বলাৎকার, ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে মৃত্যু! ধ্বংসের কিনারায় এ সমাজ
হাসপাতালে জামায়াত আমিরের পাশে মির্জা ফখরুল
বিধ্বস্ত গাজায় এক দিনে ৯০ বার বিমান হামলা চালিয়ে নি’কৃ’ষ্ট হা/য়/না ই’স’রা’ইল
তরুণ প্রজন্মের জন্য মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক
ছয় বছর পার হলেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি: শহীদ আবরারের বাবা
আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে: জামায়াত আমির
আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব: সাদিক কায়েম
পুরোনো খেলার নিয়ম বদলাতেই আমরা রক্ত দিয়েছি: নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু!
ভারত থেকে এনসিপি নেতাদের হত্যার নির্দেশ! শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামের নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
গ্রেপ্তার ইস্তাম্বুলের মেয়র, তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভ!
গোপালগঞ্জের সহিংসতায় আরও এক যুবকের মৃত্যু!
আ. লীগের আক্রমণ আমাদের দ্বিগুণ শক্তিশালী করেছে: নাহিদ ইসলাম
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুবাদের দাপুটে সূচনা, জাওয়াদ আবরারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১৩০ রানের জয়

যুদ্ধের পর ট্রাম্পকে খামেনির কঠোর হুঁশিয়ারি: শান্তি না প্রতিশোধ?

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ভয়াবহ ১২ দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি হলেও উত্তেজনার পারদ এখনো নামেনি। বরং যুদ্ধ-পরবর্তী প্রথম ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বক্তব্যে ফুটে উঠেছে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি ও কঠিন প্রতিজ্ঞা—ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না।

ইরান-ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সাম্প্রতিক সংঘাত কেবল একটি যুদ্ধই ছিল না, বরং এটি ছিল একটি ভূরাজনৈতিক ও আদর্শিক মুখোমুখি অবস্থান। এই প্রেক্ষাপটে আয়াতুল্লাহ খামেনির সর্বশেষ ভাষণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তারা যুদ্ধে নেমেছিল কারণ তারা ভেবেছিল ইসরায়েল নামক ইহুদিবাদী শাসন ধ্বংস হয়ে যাবে যদি না তারা হস্তক্ষেপ করে।”

পরাজয়ের স্বীকারোক্তি নাকি বিজয়ের প্রোপাগান্ডা?

খামেনির দাবি অনুযায়ী, ইরান আমেরিকার মুখে এক ‘কঠিন থাপ্পড়’ দিয়েছে। যদিও বাস্তবতা অন্য কথা বলছে। যুদ্ধের সমাপ্তিতে ইরান হারিয়েছে তার পরমাণু কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা এবং ধ্বংস হয়েছে তিনটি কেন্দ্রীয় পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান। এসব ক্ষতির ফলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান বহু বছর পিছিয়ে গেছে।

অন্যদিকে ইরানি প্রতিশোধ সীমিত ছিল। কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা হুথি-সমর্থিত কিছু আঞ্চলিক হামলা ছাড়া বড় কোনও প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।

খামেনির প্রকাশ্যে আগমন: বাস্তবতার মুখোমুখি এক নেতা

যুদ্ধকালীন সময় আয়াতুল্লাহ খামেনি তেহরানের গোপন বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিশ্ব গণমাধ্যম জানায়, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। এই সময়ে ইরান ছিল ধ্বংস, হতাশা ও মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে। যুদ্ধবিরতির পর তিনি যখন প্রকাশ্যে এলেন, তাঁকে স্বাগত জানায় এক ক্ষতবিক্ষত বাস্তবতা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনি যুদ্ধের ফলাফলকে ‘বিজয়’ আখ্যা দিলেও, সেটি মূলত একটি প্রতীকী ও রাজনৈতিক কৌশল। বাস্তবতা হলো—সামরিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে ইরান এক চরম প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে।

মধ্যস্থতাকারী কারা? শান্তির স্থায়িত্ব কতটুকু?

এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায়। যদিও এই চুক্তিকে অনেকে দেখছেন একটি কৌশলগত সময়ক্ষেপণ হিসেবে। কারণ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যে আবার হামলার হুমকি দিয়েছেন এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন ইরানের বিরুদ্ধে।

তেহরানও পাল্টা জানিয়েছে, পরবর্তী আঘাতে তারা প্রস্তুত। ফলে এই যুদ্ধবিরতি যে খুব দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা জোর দিয়েই বলছেন।

শেষ কথা: শান্তি না সংঘাত?

খামেনির হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট যে, ইরান নিজেকে পরাজিত ভাবতে নারাজ। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের অনৈক্য, ভূরাজনৈতিক বিভাজন ও পাশ্চাত্যের আধিপত্যবাদী কৌশল একত্রে ইরানকে একাকী করে ফেলেছে।

এই মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বকে ভাবতে হবে—এই সংঘাত শুধু ইরানের একক যুদ্ধ নয়। এটি ছিল তাদের আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর পরীক্ষাও। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিরভাগ মুসলিম রাষ্ট্রের নীরবতা ইতিহাসে অমার্জনীয় হয়ে রইল।

তথ্যসূত্র: Al Jazeera, BBC, Anadolu, X (formerly Twitter)

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত