২০শে জুলাই, ২০২৫, ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭
সর্বশেষ
ক্ষুধার্ত কিশোরকে খাবারের প্রলোভনে দু’জন মিলে বলাৎকার, ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে মৃত্যু! ধ্বংসের কিনারায় এ সমাজ
হাসপাতালে জামায়াত আমিরের পাশে মির্জা ফখরুল
বিধ্বস্ত গাজায় এক দিনে ৯০ বার বিমান হামলা চালিয়ে নি’কৃ’ষ্ট হা/য়/না ই’স’রা’ইল
তরুণ প্রজন্মের জন্য মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক
ছয় বছর পার হলেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি: শহীদ আবরারের বাবা
আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে: জামায়াত আমির
আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব: সাদিক কায়েম
পুরোনো খেলার নিয়ম বদলাতেই আমরা রক্ত দিয়েছি: নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু!
ভারত থেকে এনসিপি নেতাদের হত্যার নির্দেশ! শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামের নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
গ্রেপ্তার ইস্তাম্বুলের মেয়র, তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভ!
গোপালগঞ্জের সহিংসতায় আরও এক যুবকের মৃত্যু!
আ. লীগের আক্রমণ আমাদের দ্বিগুণ শক্তিশালী করেছে: নাহিদ ইসলাম
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুবাদের দাপুটে সূচনা, জাওয়াদ আবরারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ১৩০ রানের জয়
পাকিস্তানে ভয়াবহ বৃষ্টি: ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬৩, পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা

নেতানিয়াহু, আমাদের যেতে দাও: ইসরাইলি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার আহাজারি” অথচ মৃ’ত্যুর মুখেও দেশ ছাড়েনি ফি’লি’স্তিনিরা

মৃত্যুর ভয়ে দেশ ছাড়ছেন ইসরাইলি নাগরিক! ছবি এএফপি

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্তমানে ইসরায়েলে প্রায় ৪০ হাজার বিদেশি নাগরিক আটকা পড়েছেন। ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারিভাবে এই নাগরিকদের নিরাপদে জর্ডান ও মিসরের মাধ্যমে সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বিপরীত অবস্থা তৈরি হয়েছে ইসরায়েলিদের জন্য। নিজেদের দেশ থেকে পালাতে চাইলেও তারা পাচ্ছেন না টিকিট, বাধা দিচ্ছে নিজ দেশের সরকার।

ইসরায়েলি পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভের নেতৃত্বে বিমান সংস্থাগুলো ইসরায়েলিদের টিকিট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এমনকি ইসরায়েলের প্রধান দৈনিক হারেৎজ-এ লেখা হয়েছে, “ইসরায়েলিরা বিপদের মধ্যে দেশে ফিরতে পারে; কিন্তু বিপদ থেকে পালাতে পারবে না।”

আরেক প্রতিবেদনে হারেৎজ জানায়, চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি তরুণদের দেশত্যাগের হার তিনগুণ বেড়েছে। দেশজুড়ে এক অস্থির আতঙ্ক বিরাজ করছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে যারা যুদ্ধবিরোধী এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

এই পরিস্থিতি আজ ইতিহাসকে উল্টো করে দিচ্ছে। ১৯৭০-এর দশকে যখন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে দাবি তুলেছিল, “আমার লোকদের যেতে দাও”— সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইহুদি জনগোষ্ঠীকে ইসরায়েলে আনার জন্য, সেই একই কথা আজ ইসরায়েলি নাগরিকদের মুখে— “নেতানিয়াহু, আমার লোকদের যেতে দাও।”

অন্যদিকে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভূমি ছাড়তে নারাজ। খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সেবার মতো ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা থেকেও বঞ্চিত তারা। তবুও অধিকাংশ গাজাবাসী আজও নিজ ভূমিতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা ধরে রেখেছেন। হারেৎজ-এর বিশ্লেষণ বলছে, ইসরায়েলের সেই ধারণা ভ্রান্ত যে, ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে যাবে কিংবা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এই ভয়াবহ যুদ্ধ, গণহত্যা ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে পার্থক্যটা স্পষ্ট— একটি জাতি মরতে প্রস্তুত তবুও ভূমি ছাড়ে না, আর একটি রাষ্ট্র নিজের নাগরিকদের বলপ্রয়োগে আটকে রাখে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই (লেখক: জোসেফ মাসাদ, অধ্যাপক, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত