
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন জিতে সরকার গঠন করতে পারলে শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের শরিয়া, আমাদের দর্শন– সব কিছুই কুরআন ও হাদীসেই নির্ধারিত আছে।”
টকশোর উপস্থাপক যখন প্রশ্ন করেন, “আপনি কি আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশ বানাতে চান?” – জবাবে ফয়জুল করীম স্পষ্টভাবে বলেন, “হ্যাঁ, বানাতে চাই।”
তিনি বলেন, “ইরানের শাসনব্যবস্থার মধ্যে শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এমন ভালো দিকগুলো, কিংবা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়ারও ইসলামের পরিপন্থী নয়– এমন কোনো দর্শন থাকলে সেগুলোও গ্রহণযোগ্য, যদি তা জনগণের কল্যাণে আসে।”
শরিয়া আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আশ্বস্ত করেন, “ক্ষমতায় গেলে সংখ্যালঘুদেরও পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে।”
সম্প্রতি রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উপস্থিতি এবং ইসলামী দলগুলোর সম্ভাব্য নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও অতীতে জামায়াতের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দেওয়া ফয়জুল করীম বলেন, “আমি একচুলও সরিনি আমার সেই বক্তব্য থেকে, ইসলাম ধ্বংস করতে জামায়াতই যথেষ্ট।”
বিএনপিকে মহাসমাবেশে না ডাকার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, “যেসব দল পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে, তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিএনপি এতে রাজি নয়।”
বিএনপির সমালোচনায় তিনি বলেন, “আমি তাদের চাঁদাবাজি, কোন্দল, মারামারি নিয়ে কথা বলেছি জনগণের পক্ষ থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নয়।”
মাজার ভাঙার বিষয়ে তিনি বলেন, “মাজার খারাপ নয়। কেউ সেখানে সেজদা দিলে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে, ভাঙচুর নয়।” তিনি মাজারভাঙা প্রতিরোধে সবাইকে আহ্বান জানান।