
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: “বাবা, আমাদেরকে রেখে তুমি একা চলে গেলে কেন?” এই প্রশ্ন কোনো সাহিত্যিক রচনার অংশ নয়, বরং বাস্তবতার নির্মম চিত্র। প্রতিদিনের মতো গতকালও ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মারা গেছেন বহু ফিলিস্তিনি। কিন্তু এই মৃত্যুগুলোর মাঝে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্য হচ্ছে— এক শিশুর কাঁপতে কাঁপতে বাবার মৃতদেহ ধরে কান্না, চিৎকার, হাহাকার।
একের পর এক পিতৃহীন হচ্ছে গাজার শিশুরা!
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অবিরাম বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের বহু শিশুই প্রতিদিন তাদের বাবা-মাকে হারাচ্ছে। অনেকে চোখের সামনে দেখছে বাবাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে, কেউ বা খোঁজই পাচ্ছে না তার প্রিয়জনের। এক শিশুর কান্না ছড়িয়ে পড়ছে পুরো দুনিয়ার সামাজিক মাধ্যমে,
“আমার বাবা আর নেই, কে আমাকে ঘুম পাড়াবে? কে আমার স্কুলের খরচ দেবে? কে আমার মাথায় হাত রাখবে?”
এই প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর নেই গাজার ধ্বংসস্তূপে।
শুধু শিশু নয়, বিধ্বস্ত হচ্ছে ভবিষ্যৎ
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার শিশুরা এখন সবচেয়ে বিপন্ন, সবচেয়ে আতঙ্কিত ও সবচেয়ে একা। তারা ঘুমাতে পারে না, খেতে পারে না, খেলতে পারে না, শুধু বেঁচে থাকার লড়াই লড়ছে। এই শিশুরাই একদিন এই জাতির ভবিষ্যৎ হয়ে উঠবে, কিন্তু যদি তারা আজ বাঁচে না— তবে আগামীর ফিলিস্তিন কোথায় দাঁড়াবে?
মুসলিম উম্মাহর প্রতি করুণ আহ্বান
এই আর্তনাদ যেন আর শোনা না যায়। সেই শিশুদের কাঁদা চোখে যেন একটু শান্তির ঘুম ফিরে আসে। এই বাচ্চাদের মাথায় যেন কেউ হাত বুলিয়ে বলে, “ভয় পেয়ো না, আমরা আছি।”
আজ সারা দুনিয়ার মুসলিমদের উচিত এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো, দোয়া, সাহায্য, প্রতিবাদ, সচেতনতা— যা কিছু সম্ভব, তাই করা।
হৃদয়ের কথা:
যে শিশু আজ বাবা হারিয়েছে, কাল সে হারাবে মাকেও হয়তো। তার ছোট্ট হাত দিয়ে কিছুই করতে পারছে না সে, শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে, “আল্লাহ্, আমার বাবাকে ফেরত দাও”
এই নরপিশাচদের থামিয়ে দাও যারা আমাদের শিশুদের মুখের হাসি কেড়ে নিচ্ছে।